মনজুর এ আজিজ: আবারও চিনির দাম কেজিতে ২৫ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছেন মিল মালিকরা। আগামী ২২ জুন (বৃহস্পতিবার) এ দর কার্যকর করতে চান তারা। সোমবার (১৯ জুন) বাণিজ্য সচিবের কাছে চিঠিটি পাঠিয়েছে সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

ট্যারিফ কমিশনে পাঠানো চিঠিতে আমদানিকারকরা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে প্রতি টন অপরিশোধিত চিনি ৬৪০ থেকে ৬৫০ ডলারে কিনতে হচ্ছে। পরে খাদ্যপণ্যটি প্রক্রিয়াজাত করে দেশের বাজারে সরবরাহ করা হয়। এতে আমদানি ব্যয়, ডলারের বিনিময় হার, ব্যাংক সুদ, জাহাজ খরচ এবং স্থানীয় পরিশোধনকারী মিলগুলোর উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দামের সঙ্গে সমন্বয় করতে দাম বাড়ানো জরুরি হয়ে পড়েছে। 

জানা যায়, কয়েক দিন আগে প্রতি কেজি খোলা চিনির মূল্য ১২০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম ১২৫ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। তবে সেটা মানছেন না ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে বাজারে কেজিপ্রতি চিনি ১৩৫ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এবার নিয়মতান্ত্রিকভাবে আবেদন করে চিনির দাম বাড়াতে চায় সংগঠনটি। নতুন প্রস্তাবে কেজি খোলা চিনির দর ১৪০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির মূল্য ১৫০ টাকা নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। তবে চিনির দাম বাড়ানোর বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। 

নীতিমালা অনুযায়ী, চিনি, ভোজ্যতেলসহ আরও কয়েকটি পণ্যের দাম ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে নির্ধারণ করে সরকার। তবে সম্প্রতি চিনির দাম বাড়াতে সরকারের দ্বারস্থ হয়ে ব্যর্থ হন ব্যবসায়ীরা। অবশেষে দর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন তারা। এর আগে গত ৬ জুন কেজিতে খোলা চিনির দাম ২০ টাকা এবং প্যাকেটজাতের দর ২৫ টাকা বাড়াতে ট্যারিফ কমিশনে চিঠি দেয় সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন। সে সময় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চিনির মূল্য বাড়াতে আবেদন করেছেন আমদানিকারকরা। তবে এ নিয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না। বিশ্ববাজার ও আনুষঙ্গিক খরচ পর্যালোচনা করে পদক্ষেপ গৃহীত হবে।

গত ১১ মে প্রতি কেজির দাম ১৬ টাকা বাড়ানো হয়। এতে খোলা চিনির দর দাঁড়ায় ১২০ টাকা এবং প্যাকেটজাতের মূল্য স্থির হয় ১২৫ টাকা। তবে সেটা কেউই মানছেন না। বাজারে উভয় চিনিই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। দামের পার্থক্য থাকায় বাজারে প্যাকেটজাত চিনির সংকট চলছে।  সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া